head

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য


১. দরিদ্র মানুষের জন্য হেল্থ কেয়ার সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনা করা ।
২. দরিদ্র মানুষের মধ্যে যে কোন জনহিতকর বা দাতব্য, কার্যক্রম পরিচালনা করা ।
৩. অসুস্থ্য মানুষের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য হাসপাতাল ও গবেষণাগার স্থাপন করা ।
৪. অবহেলিত দারিদ্র পীড়িত মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা ।
৫. অশিক্ষিত ও অর্ধ-শিক্ষিত মানব গোষ্ঠীকে উন্নত পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবামুলক শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে কর্ম দক্ষতার বৃদ্ধি ও উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া / গ্রহন করা ।
৬. জনসাধারণকে/ দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে/ মানব সমাজকে উপযোগীতা মূলক/ তাদের হিতকর / মঙ্গলকর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা ।
৭. সাধারণ মানুষের (শিক্ষিত/ অর্ধ-শিক্ষিত) মধ্যে পাঠাগার/ পাঠকক্ষ প্রতিষ্ঠা করে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে সচেতন করা ।
৮. দরিদ্র অবহেলিত ছিন্নমূল শিশুদের কল্যাণার্থে তাদের সুস্থ্য, শিক্ষা পরিবেশন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান দান করে সেবামুলক কার্যক্রম করা ।
৯. অনাথ শিশুদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র ও শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করা ।
১০. বৃদ্ধদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন করা।
১১. আর্সেনিকমুক্ত তথা বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা ।
১২. অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পারিবারিক পুষ্টি, নিরাপদ মাতৃত্ব, প্রজন্ম স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও যুগোপযোগী উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা ।
১৩. বনায়ন ও নার্সারী গ্রহন করা ।
১৪. বয়স্ক শিক্ষা , কিশোর- কিশোরী ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা ।
১৫. যুবক/ যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্বল্প সময়ে যে কোন টেকনিক্যাল ট্রেনিং প্রদান করা ।
১৬. ধুমপান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করা ।
১৭. এইডস/এস,টি,ডি (AIDS/STD) সম্পর্কে গণ সচেতনতা সৃষ্টি করা।
১৮. প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রতিরোধ, ত্রাণ, ও পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সহায়তা করা ।
১৯. নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ এবং যৌতুক প্রতিরোধকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করা ।
২০. ফাউন্ডেশনের স্বার্থে সব ধরনের শর্তের ভিত্তিতে আর্থিক সাহায্য, মঞ্জুরী, দান, সহোযোগীতা, উপকার, চাঁদা গ্রহণ (বৈদেশিক সাহায্য, দান, মঞ্জুরী ও সহোযোগীতার ক্ষেত্রে ১৯৭৮ এর সেচ্ছাসেবী (তৎপরতা) রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স নং-১৯৭৮ প্রযোজ্য) এবং উক্ত দান, মঞ্জুরী, সাহায্য, সহোযোগীতা, উপকার গ্রহনের মাধ্যমে বিভিন্ন তহবিল সংগ্রহ অর্জন ও সম্পদ ও সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ।
চ. ফাউন্ডেশনের ক্ষমতা ঃ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমুহ বাস্তবায়নের জন্য সদাশয় সরকার, প্রতিষ্ঠান, ট্রাষ্ট সংগঠন, ব্যাক্তি বা সংস্থা হতে চাঁদা, দান-অনুদান, আর্থিক সাহায্য এবং যে কোন প্রকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি নি:শর্তে বা দাতা কর্তৃক আরোপিত গ্রহনযোগ্য শর্তে গ্রহণ করতে পারবে । তবে প্রকাশ থাকে যে, বিদেশী সাহায্য গ্রহণের ক্ষেত্রে Foreign Donation Act 1978 মেনে চলতে হবে ।

গঠনতন্ত্র

ধারা ১ -
ফাউন্ডেশনের সদস্য পদ লাভের যোগ্যতাঃ
  বিশ্বের যে কোন ব্যক্তি (ইহুদি ব্যাতিত) এবং এই ফাউন্ডেশনের সাথে একমত পোষণকারী সকল পেশার নাগরিক সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে ৬০ বছর পর্যন্ত বাস্তব জীবনে সৎ, চরিত্রবান, নৈতিক গুণসম্পন্ন, সুস্থ্য মস্তিস্ক, যে কোন ব্যাপারে বিচার বিশ্লেষণ, ভাল-মন্দ প্রমাণে সিদ্ধান্ত দেবার মত বুদ্ধিমান, ঝুঁকি নেবার মত সাহসী, কাজের ঐকান্তিকতা,নিষ্ঠাবান ও যোগ্য ব্যক্তি ইচ্ছা করলে চেয়ারম্যানের বরাবর সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রদ্রোহী ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য কোন ব্যাক্তি উক্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য হতে পারবেন না।
     
ধারা ২-
ফাউন্ডেশনের সদস্য পদ লাভের পদ্ধতিঃ
  (ক) অত্র ফাউন্ডেশনে সদস্য হতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিকে কমপক্ষে ফাউন্ডেশনের ২ (দুই) জন সদস্যের সুপারিশ সহ নির্ধারিত আবেদন পত্রের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে।
(খ) সদস্যদের আবেদন পত্র ফি ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা এবং বার্ষিক অনুদান ১২০০/- (একহাজার দুইশত) টাকা।
(গ) ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জমাকৃত আবেদন পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সর্বোচ্চ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন এবং অনুমোদন সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের নিকট অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করবেন।
     
ধারা ৩ - ফাউন্ডেশনের সদস্যদের শ্রেনী বিভাগঃ-   (ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ- যাদের সার্বিক উদ্দোগে ও স্বাক্ষরদানে অত্র ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা সকলেই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বলে গণ্য হবেন। উক্ত সদস্যগণ ফাউন্ডেশনের সাধারন সভায় উপস্থিত থাকতে ও ভোটাধিকারসহ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।
(খ) সাধারণ সদস্যঃ- বর্ণিত শর্তাবলী সাপেক্ষে সদস্যপদ লাভের জন্য বিবেচিত যে কোন সদস্য আবেদনপত্র ফি ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা এবং বার্ষিক অনুদান ১২০০/- (একহাজার দুইশত) টাকা প্রদান করে সদস্য হতে পারবেন।
(গ) দাতা সদস্যঃ-যিনি কমপক্ষে ৩০০০/- (তিন হাজার) থেকে তদুর্ধ্ব বা সম পরিমান কোন বস্তু ফাউন্ডেশনে দান করবেন, তিনি দাতা সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। এই শ্রেনীর সদস্যগণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সভায় উপস্থিত হতে পারবেন এবং ফাউন্ডেশন সংক্রান্ত নিজ নিজ মতামত পেশ করতে পারবেন। কিন্তু ভোট দিতে পারবেন না।
(ঘ) আজীবন সদস্যঃ- কোন সদস্য এককালীন ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা বা এর সমপরিমান মূল্যের সম্পদ অনুদান করেন তাহলে তাকে ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য বলে গণ্য করা হবে।
     
ধারা ৪ -ফাউন্ডেশনের সদস্য পদ বাতিল, শুন্য পদ পূরণ ও পূণঃ বহাল :  

(ক) সদস্য পদ লাভের শর্তাবলীর নিরিখে সর্বোচ্চ পরিষদ যার সম্পর্কে এই ফাউন্ডেশনটির সদস্য থাকার যোগ্য নন বলে সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি সদস্য পদ হারাবেন।
(খ) কোন সর্বোচ্চ ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পর পর তিনটি সাধারণ সভায় যুক্তিসংগত কারণ ব্যাতীত অনুপস্থিত থাকলে সর্বোচ্চ পরিষদ ইচ্ছা করলে তাঁর সদস্য পদ বতিল বলে গণ্য করতে পারবেন।
(গ) যদি কোন সদস্য ইচ্ছাকৃত ভাবে পদত্যাগ করেন।
(ঘ) অত্র ফাউন্ডেশনের সংবিধান অমান্য করেন।
(ঙ) ফাউন্ডেশনের শৃঙ্খলার, স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করলে।
(চ) সদস্য প্রাপ্তির পর ৩ (তিন) মাস চাঁদা বাকী থাকলে।
(ছ) চরিত্রহীন, নেশাগ্রস্থ কোন ব্যাক্তি, সমাজ বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকলে, মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে, আর্থিক অসংগতি দেখা দিলে, মৃত্যু হলে।

শুন্য পদ পুরনঃ-
সর্বোচ্চ ও কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্যপদ শুন্য হলে কার্যকরী পরিষদের সুপারিশক্রমে সাধারণ সদস্যদের ভোটে এ শুন্য পদ পুরণ করা হবে।
সদস্য পদ পূনঃবহালঃ
যে কারণে সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হয়েছে, তাকে উপযুক্ত কারণ দর্শিয়ে সদস্যপদ পূনঃ বহালের জন্য ভাইস- চেয়ারম্যান এর নিকট আবেদন করবেন। পরে সর্বোচ্চ পরিষদের বিবেচনাক্রমে সদস্যপদ পূনঃ বহাল করা যেতে পারে।

     
ধারা ৫:সদস্যদের অধিকার ও সুবিধা -  

প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের সদস্য সহ সাধারণ সদস্যের ভোটাধিকার থাকবে। সর্বোচ্চ পরিষদের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে আজীবন ও দাতা সদস্য ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন ও বৃহত্তর স্বার্থে পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।

     

ধারা ৬ - ফাউন্ডেশনের তহবিল (আয়-ব্যয়):

  আয়   ব্যয়
ক) সদস্যদের আবেদন ফি, অনুদান।
খ) শুভাকাঙ্খীদের অনুদান ।
গ) সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, কল্যাণমুলক ফাউন্ডেশন, দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থার দান, অনুদান।
  ক) অফিস ভাড়া, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ফ্যাক্স, কারেন্ট বিল পরিশোধ বাবদ।
খ) আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ।
গ) পরিচালক, কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ।
ঘ) পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সদস্য ও কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ বাবদ।
ঙ) ফাউন্ডেশন পরিচালনায় বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাবদ।
চ) প্রকল্প খাতে ব্যয় বাবদ।
ছ) প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনার্থে যানবাহন ক্রয়-খাতে ব্যয় বাবদ।
জ) ফাউন্ডেশনের নামে তহবিল সংগ্রহ তথা উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কান্ট্রি-ডিরেক্টরদের ব্যয় ভার বহন বাবদ।
ঝ) আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা বাবদ।
ঞ) ফাউন্ডেশনের প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরী, গৃহীত নীতিমালা তৈরী, প্রশিক্ষন, ওরিয়েন্টেশন ও সভা, সেমিনারের জন্য ব্যয়।
ট) সম্পত্তি ক্রয় ও ভবন নির্মাণ বাবদ।
ঠ) বিবিধ ব্যয়।
       
ধারা-৭- সাংগঠনিক কাঠামো :   এই ফাউন্ডেশন পরিচালনার জন্য ৩ (তিনটি) সাংগঠনিক কাঠামো বা পরিষদ থাকবে। যথাঃ-
ক.সর্বোচ্চ পরিষদঃ   অত্র ফাউন্ডেশনের গঠনকল্পে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ ফাউন্ডেশনের সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য হিসেবে পরিগনিত হবেন। অত্র ফাউন্ডেশনের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করার অধিকার তাদের থাকবে। ফাউন্ডেশনের জরুরী প্রয়োজনে তারা যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। অধিকাংশ সদস্যদের সম্মতিতে সংবিধান পরিবর্তন, কার্যকরী পরিষদ গঠন, বাতিল, কমিটি পুনর্গঠন, রদ-বদল, সংবিধান সংযোজন, আঞ্চলিক কমিটি গঠন ও অনুমোদন, সহজ পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা সহ ফাউন্ডেশনের যে কোন প্রয়োজনে যে কোন সিদ্ধান্ত ও সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ যখন প্রয়াত হবে তাদের উত্তরসূরীরা এই দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন। যদি কোন উত্তরাধীকারী অপারগতা প্রকাশ করেন সে ক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদের সুপারিশক্রমে সাধারণ সদস্যদের ভোটে নতুন সদস্য নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন। তবে সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১ (এগার) এর কম বা বেশি হবে না।
     
খ.কার্যকরী পরিষদ   সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ১১ (এগার) জন সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ ১ (এক) বছরের জন্য নির্বাচিত হবে এবং তা সর্বোচ্চ পরিষদের অনুমোদনের মাধ্যমে কাজ শুরু করবে। এই পরিষদ সর্বোচ্চ পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।
     
গ.সাধারণ পরিষদ   এই পরিষদ সংস্থার সাধারন সদস্যদের দ্বারা গঠিত হবে। এই পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বা গোপন ভোটে বা মনোনয়নের মাধ্যমে কার্যকর পরিষদ গঠিত হবে।

১১ (এগার) জন সদস্য বিশিষ্ট পরিষদ এর কাঠামো

  পদবী   পদসংখ্যা
  সভাপতি   ১ (এক) জন।
  সহ সভাপতি   ১ (এক) জন।
  সাধারণ সম্পাদক   ১ (এক) জন।
  কোষাধ্যক্ষ   ১ (এক) জন।
  নির্বাহী সদস্য   ১ (এক) জন।
  সদস্য   ৬ (ছয়) জন।
       
  মোটঃ   ১১ (এগার) জন।
       
ধারা -৮:   প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
সর্বোচ্চ পরিষদঃ   সর্বোচ্চ পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ
১) সর্বোচ্চ পরিষদ ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন।
২) ফাউন্ডেশনের যাবতীয় আয়-ব্যায়ের হিসাব সহ সকল প্রকার খাতা-পত্র এই পরিষদ তত্বাবধান করবেন।
৩) ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এই পরিষদ কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।
৪) ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনীয় খরচের অনুমোদন করবেন।
৫) বিশেষ কার্য-সম্পাদনের জন্য কমিটি গঠন করবেন বা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন।
৬) ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য টাকা বা ইহার তহবিল সুষ্ঠু ও সুবিধাজনকভাবে যে কোন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
     
    সর্বোচ্চ পরিষদের পরিচালক বৃন্দের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য:
চেয়ারম্যানঃ    চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান সম্মানিত ব্যক্তি বলে গণ্য হবেন এবং প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ফাউন্ডেশনের উন্নতি সাধনই তাঁর প্রধান কর্তব্য হবে। সর্বোচ্চ পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। যে কোন জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন। প্রয়োজনে যে কোন পরিমান টাকা অনুমোদন দিতে পারবেন।
 তিনি ফাউন্ডেশনের গঠনতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে থাকবেন।
 ফাউন্ডেশনের সকল কার্যাবলী তদরকি করবেন, পরামর্শ প্রদান করবেন এবং ফাউন্ডেশনের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে সর্বদা তৎপর থাকবেন।
 সকল প্রকার বিল, ভাউচার, লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি বা সর্বোচ্চ পরিষদ হতে তার মনোনীত সদস্য/ব্যক্তি যে কোন সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেবেন এবং মতামত পেশ করতে পারবেন।
 তিনি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবেন। ফাউন্ডেশনের কল্যাণে নতুন কোন নিয়ম সংযোজন-বিয়োজন করার অধিকার রাখেন এবং কাউকে বরখাস্ত বা নিয়োগ দিতে পারবেন।
 ফাউন্ডেশনের সার্বিক উন্নয়নে সর্বদাই সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে কাজ বাস্তবায়ন করবেন।
 প্রশাসন, প্রকল্প তৈরী, বাজেট তৈরী, কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মূল্যায়নে সর্বদা সহায়তা করবেন।
 সদস্য তালিকায় সঠিক সদস্যভুক্তি লিপিবদ্ধ করবেন।
 চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে সকল ধরনের সভা আহ্বান, দিন, তারিখ, স্থান নির্ধারিত হবে।
     
ভাইস-চেয়ারম্যানঃ    ভাইস-চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সভার কার্য পরিচালনা করবেন।
     
সাধারণ সম্পাদকঃ-    ফাউন্ডেশনের সার্বিক উন্নয়নে সর্বদাই সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য হিসেবে সকল সদস্যবৃন্দের সাথে যোগাযোগ, আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন।
 প্রশাসন, প্রকল্প তৈরী, বাজেট তৈরী কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মূল্যায়নে সর্বদা সহায়তা করবেন।
 সকল ধরনের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করনে ও বিতরনের ব্যবস্থা করবেন।
 চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে সদস্য তালিকায় সঠিক সদস্যভূক্তি লিপিবদ্ধ করবেন।
 চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে সকল ধরনের সভা আহ্বানের দিন, তারিখ, স্থান এবং এজেন্ডা উল্লেখ করে নোটিশ লিখে কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে বিতরনের ব্যবস্থা করবেন।
 কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক জমা-খরচের হিসাব প্রস্তুত করে নিবেন এবং যথাযথভাবে সর্বোচ্চ পরিষদের সভার অনুমোদন ও গ্রহন করার ব্যবস্থা করবেন।
 সর্বোচ্চ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত সকল প্রকার বিল, ভাউচার সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করবেন এবং চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমতিক্রমে বিতরন করবেন। প্রয়োজনবোধে সংগঠনের কাজে ১০০০০/-(দশ হাজার) টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন তবে উল্লেখ থাকে যে, চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন মত টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
     
কার্যকরী পরিষদঃ   কার্যকরী পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ-
     কার্যকরী পরিষদ ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
 কার্যকরী পরিষদের মেয়াদকাল হবে ০১ (এক) বছর।
 ফাউন্ডেশনের যাবতীয় আয়-ব্যায়ের হিসাবরক্ষণ সহ সকল প্রকার খাতা-পত্র এই পরিষদের তত্বাবধানের কাজ করবেন। তাছাড়া সকল প্রকার যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং অনুলিপি হেফাজত করবেন এবং সর্বোচ্চ পরিষদের নিকট হতে প্রত্যায়ন করে সকল নথিপত্রাদি সংরক্ষণ করবেন।
 ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এই পরিষদ বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন করে সাধারন সভায় তা অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ পরিষদ হতে অনুমোদন করে কাজ বাস্তবায়ন করবেন।
 ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনীয় খরচের খসড়া সর্বোচ্চ পরিষদ হতে অনুমোদন করে নিবেন।
     
    কার্যকরী পরিষদের পরিচালক বৃন্দের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য :
সভাপতিঃ    তিনি কার্যকরী পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ফাউন্ডেশনের উন্নতি কল্পে বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবয়নই তাঁর প্রধান কর্তব্য হবে। তিনি সাধারণ সভা ও কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে যে কোন জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন। তিনি সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
 কার্যকরী পরিষদের সকল কার্যাবলী তদরকি করবেন, পরামর্শ প্রদান করবেন এবং ফাউন্ডেশনের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে সর্বদা তৎপর থাকবেন।
 কার্যকরী পরিষদের সকল প্রকার বিল, ভাউচার, লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি সর্বোচ্চ পরিষদে অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।
 সর্বোচ্চ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত ও অনুমোদিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বদাই সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্যদের সাথে সাথে পরামর্শ করে কাজ বাস্তবায়ন করবেন।
 প্রশাসন, প্রকল্প তৈরী, বাজেট তৈরী, কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মূল্যায়নে কার্যকরী পরিষদকে সর্বদা সহায়তা করবেন।
 কার্যকরী পরিষদের সকল ধরনের সভার কার্য্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন।
 চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে সকল ধরনের সভা আহ্বান, দিন, তারিখ, স্থান নির্ধারিত ও বাস্তবায়িত করবেন।
     
সহ-সভাপতিঃ    সহ-সভাপতি -সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভার কার্য পরিচালনা করবেন।
     
সাধারণ সম্পাদকঃ-    সর্বোচ্চ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত ও অনুমোদিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সর্বদাই কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে সকল সদস্যবৃন্দের সাথে যোগাযোগ, আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন।
 প্রশাসন, প্রকল্প তৈরী, বাজেট তৈরী কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মূল্যায়নে সর্বদা সহায়তা করবেন।
 কার্যকরী পরিষদের সকল ধরনের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করনে ও বিতরনের ব্যবস্থা করবেন।
 সভাপতির অনুমতিক্রমে সদস্য তালিকা সর্বোচ্চ পরিষদে অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।
 সভাপতি সাহেবের অনুমতি ক্রমে কার্যকরী পরিষদের সভা আহ্বানের দিন, তারিখ, স্থান এবং এজেন্ডা উল্লেখ করে নোটিশ লিখে বিতরনের ব্যবস্থা করবেন।
 সদস্য অর্থ কর্তৃক মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক জমা-খরচের হিসাব প্রস্তুত করে নিবেন এবং যথাযথভাবে কার্যকরী পরিষদের সভার অনুমোদন ও গ্রহন করার ব্যবস্থা করবেন।
 সর্বোচ্চ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত সকল প্রকার বিল, ভাউচার সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করবেন এবং সভাপতি সাহেবের অনুমতিক্রমে বিতরন করবেন। প্রয়োজনবোধে সংগঠনের কাজে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন তবে উল্লেখ থাকে যে, চেয়ারম্যান ও সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন মত টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
     
ধারা -৯ : ব্যাংক ব্যবস্থা :   প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে যে কোন তফসিলী ব্যাংকে নিজ নামে একাউন্ট খুলতে পারবে। উল্লেখ থাকে যে, ব্যাংক একাউন্টটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও একজন সদস্যের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হতে হবে। শাখা সমূহের একাউন্ট স্থানীয় শাখা পরিচালনা করবে।
     
    সদস্য আবেদনপত্র ডাউনলোড
সহযোগী প্রতিষ্ঠান
সর্বস্বত সংরক্ষিত© ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন
ডিজাইনে SIAAM